বুধবার, ৩ মার্চ, ২০২১

দাওয়াতী কাজের মহত্ত্ব

 দাওয়াতী কাজের বড় মহত্ত্ব রয়েছ ইসলামে।যেহেতু এ কাজ হল মহ্ত লোকের কাজ। দায়ী দাওয়াত দেয় সব চেয়ে বড় যিনি ,তার দিকে । অতএব তার একাজ অবশ্যই বড় । সে নিজ কোথা দিয়ে আহব্বান করে তাঁর দিকে ,যিনি আকবার অ আজিম ,আলা অ আজাল্ল । অতএব তার কথা সব চেয়ে উত্তম শ্রেষ্ঠ । মহান আল্লাহ বলছেন,

        "যে ব্যাক্তি আল্লাহর দিকে মানুষ আহব্বান করে,সৎ কাজ করে এবং বলে 'আমি তো আত্মসমর্পণ কারী (মুসলিম)' তার অপেক্ষা কথায় উত্তম আর কোন ব্যাক্তি?"(সূরা:হা-মিম সাজদাহ:33)

  দাওয়াত দেওয়ার কাজ সাদ্ধ অনুযায়ী  অজিব।মহান আল্লাহ তার নাবিকে দাওয়াত দিতে আদেশ করেছিলেন ।আর সে আদেশ সকল উম্মতের জন্য। মহিলা পুরুষ আবাল ব্রিদ্ধ-বনিতা নির্বিশেষে সকলের জন্য।মজআন আল্লাহ বলেন,https://amzn.to/2NPeLsE

           "তুমি মানুষ কে তোমার প্রতিপালকের দিকে আহব্বান করো হিক্মাত অ সদুপদেশ দ্বারা এবং তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করো সদ্ভাবে।নিশ্ছই তোমার প্রতিপালক ,তার পথ ছেড়ে কে বিপথগামি হয় ,সে বিষয়ে সবিশেষ অবহিত এবং কে সপথে আছে তাও স বিশেস অবহিত।"(সূরা:নাহলে;:125)

তুমি তাদেরকে তােমার প্রতিপালকের দিকে আহবান কর । নিশ্চয় তুমি সৎم পথেই প্রতিষ্ঠিত। ( হাজ্জঃ৬৭) ولا يدئك عن آيات الله بعد إذ أنزلت إليك وادع إلى ربك ولا تكون من المشركين } ( ۸۷ ) سورة القصص অর্থাৎ , তােমার প্রতি আল্লাহর আয়াত অবতীর্ণ করার পর ওরা যেন তােমাকে কিছুতেই সেগুলি হতে বিমুখ না করে ফেলে । তুমি তােমার প্রতিপালকের দিকে তাহবান কর এবং কিছুতেই অংশীবাদীদের অন্তর্ভুক্ত হয়াে না । ( সুরা:ক্বাস্বাস: ৮৭ ) দাওয়াতের কাজ আম্বিয়ার কাজ , রসূলগণের বৃত্তি , তাদের বিনই ছিল দাওয়াতী জীবন । মহান আল্লাহ বলেন ادع إلى سبيل ربك بالحكمة والموعظة الحسنة وجادلهم بالت هي أحسن إن ربك هو أعلم بمن ضل عن سبيله وهو أعلم بالمهتدين } ( ۱۲۰ ) النحل । অর্থাৎ , অবশ্যই আমি প্রত্যেক জাতির মধ্যে রসূল পাঠিয়েছি এই নির্দেশ দিয়ে যে , তােমরা আল্লাহর উপাসনা কর ও তাগূত থেকে দূরে থাক । অতঃপর তাদের কতককে আল্লাহ সৎপথে পরিচালিত করেন এবং তাদের কতকের উপর ভ্রষ্টতা অবধারিত হয় । সুতরাং তােমরা পৃথিবীতে পরিভ্রমণ করে দেখ , যারা সত্যকে মিথ্যা বলেছে তাদের পরিণাম কী হয়েছে । ( নাহল : ৩৬ ) এ মহান কাজ নবীর অনুসারীদেরও । যা নবীকে নবী বলে মানে এবং মানার মতাে মানে , তারা সব কাজে যথাসাধ্য অনুসরণ করে । মহান আল্লাহ বলেন , قل هذه سبيلي أدعو إلى الله على بصيرة أنا ومن اتبعني وسبحان الله وما أنا من المتر كين } ( ۱۰۸ ) سورة يوسف » অর্থাৎ , তুমি বল , এটাই আমার পথ । তাড়াহর প্রতি মানুষকে আহবান করি সজ্ঞানে আমি এবং আমার অনুসারিগণও । আঃহ পবিত্র । আর আমি অংশীবাদীদের অন্তর্ভুক্ত নই । (সূরা; উসুফ:108) আরো বলেন, হে আমার সম্প্রদায় ! কি আশ্চর্য ! আমি তােমাদের আহবান করছি মুক্তির দিকে ; আর তােমরা আমাকে আহবান করছ জাহান্নামের দিকে । তােমরা আমাকে আহবান করছ , যাতে আমি আল্লাহকে অস্বীকার করি এবং এমন কিছুকে তার সমকক্ষ স্থির করি , যার সম্বন্ধে আমার কোন জ্ঞান নেই , পক্ষান্তরে আমি তােমাদেরকে আহবান করছি পরাক্রমশালী পরম ক্ষমাশীল আল্লাহর দিকে । ( মু'মিনঃ ৪১-৪২ ) না , সবাই পারেনা । এক এক মানুষের এক এক রকম পেশা, এক এক রকম নেশা। কাউকে ব্যবসা করতে হবে , আর সেই ব্যবসার ফাকেই দাওয়াতের কাজ হবে । তবে ব্যবসা তার পেশা । কেউ মুজাহিদ হবে , আল্লাহর রাস্তায় বিভিন্ন জিহাদ ও সংগ্রাম করবে । জিহাদই তার পেশা । কেউ পেশাদার চাষী হবে , ইঞ্জিনিয়ার হবে , বিচারপতি হবে , চিকিৎসক হবে , আর পেশার মাঝে সাধ্যানুসারে দাওয়াতী কাজ করবে । কেউ ফকীহ হবে । দ্বিীনী ইলম , দর্স - তাস্রিদ ও ফিকহই হবে তার পেশা । অর্থাৎ , বিশ্বাসীদের জন্য সঙ্গত নয় যে , তারা ( জিহাদের জন্য ) সবাই একত্রে বের হয়ে পড়ে , সুতরাং তাদের প্রত্যেকটি বড় দল হতে এক একটি ছােট দল বহির্গত হয় না কেন , যাতে অবশিষ্ট লােক ধর্মজ্ঞান অর্জন করতে থাকে এবং যাতে তারা নিজ সম্প্রদায়ের নিট ফিরে এলে তাদেরকে সতর্ক করতে পারে । যাতে তারা সাবধান হতে পারে । ( তাওবাহঃ ১২২ ) ইলম অর্জন করে কেউ দাঈ হবে , দাওয়াতের কাজই হবে তার পেশা ।। . * 5 # 19 ) অর্থাৎ , তােমাদের মধ্যে এমন একটি দল থাকা উচিত , যারা ( লােককে ) কল্যাণের দিকে ত্যাহবান করবে এবং সৎকার্যের নির্দেশ দেরে ও অসৎ কার্য থেকে নিষেধ করবে । আর এ সকল লােকই হারে সফলকাম । ( আলে ইমরানঃ ১০৪ ) যে কাজে আল্লাহর তাদেশ , সে কাজের মাহাত্ম্য কি কম বলা যায় ? মহানবী ৪ খায়বারের দিন আলী বিন আবী তালেব - কে বলেছিলেন , “ তুমি ধীর - স্থিরভাবে যাত্রা করে তাদের দ্বারপ্রান্তে গিয়ে উপস্থিত হও । অতঃপর তাদেরকে ইসলামের দিকে আহবান কর এবং ইসলামে তাদের উপর মহান আল্লাহর কী কী অধিকার এসে বর্তাবে , তা তাদেরকে অবহিত কর । আল্লাহর কসম ! তোমার মাধ্যমে আল্লাহ যদি একটি লােককেও হিদায়াত করেন , তাহলে তা তােমার জন্য লাল উটনী ( আরবের সর্বশ্রেষ্ঠ সম্পদ ) অপেক্ষ । উত্তম । ” ( বুখারী ৩৭৫৪ মুসলিম ২৪০৬ নং ) পাওয়াতের কাজ সফল হলে , তাতে রয়েছে বহুগুণ সওয়াব । কেউ যদি দাওয়াতের মাধ্যমে একটি বেনামাযীকে নামাযী বানায় , তাহলে দাঈ ঐ নাম্যহরি নামাযের সওয়াব পাবে । কেউ যদি দাওয়াতের মাধ্যমে কোন বেরােযাদারকে রােযাদার বানায় , তাহলে দাঈও রােযাদারের রো । রাখার সওয়াব পাবে । কেউ যদি দাওয়াতের নামে কোন লোককে হাজী বানায় , তাহলে দাও হজের সওয়াব পাবে । অনুরূপ সকল সংকসে ক্ষেত্রে এই বিধান । আল্লাহর রসূল * বলেছেন , “ যে ব্যক্তি সংপণের দিকে আহবান করে ( দাওয়াত দেয়া ) , সে ব্যক্তি ঐ পরে তানুসারীদের সমপরিমাণ সওয়াব লাভ হবে । এতে তাদের সওয়াব থেকে কিছু মাত্র কম হবে না । আর যে । ব্যক্তি অসৎ পথের দিকে আহবান করে , সেই ব্যক্তির ঐ পথের অনুসারীদের সমপরিমাণ গােনাহর ভাগী হবে । এতে তাদের গােনাহ থেকে কিছুমাত্র কম হবে না । ” ( মুসলিমঃ ২৬৭ ৫ নং প্রমুখ ) ইবনে মাসউদ ৭৯ বলেন , এক ব্যক্তি নবী -এর নিকট এসে যাত্রা করল । তিনি বললেন , “ তামার কাছে এমন কিছু নেই , মা আমি তােমাকে দান করব । তবে তুমি অমুকের নিকট যাও । ” সে ঐ লােকটির নিকট গেল । লােকটি তাকে দান করল । এ দেশে তালাহ রসূল 24 বললেন , “ যে ব্যক্তি কল্যাণের প্রতি পথনির্দেশ করে , তার জন্য ঐ কল্যাণ সম্পাদনকারীর সমপরিমাণ সওয়াব লাভ হয় । ” ( ইবনে হিলা ) অন্য বর্ণনায় আছে , “ কল্যাণের প্রতি পথনির্দেশক কল্যাণ সম্পাদনকারীরই তানুরূপ । ” ( বাফার , স হ তারগীব ১১১-৫ ) যে মানুষকে আল্লাহর ওয়াস্তে আল্লাহর দিকে আহবান করবে , তার সওয়াব অবশ্যই অজ , অবশ্যই অসংখ্য । পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি দাওয়াত ও তাবলীগের কাজ করে না , সে শাস্তিযােগ্য তাপরাধী হতে পারে । যেহেতু সে সেই আদেশ অমান্য করে , যে আদেশ মহান আল্লাহ তার নবীকে দিয়েছেন , অর্থাৎ , হে রসূল ! তােমার প্রতিপালকের নিকট হতে তোমার প্রতি যা অবতীর্ণ করা হয়েছে , তা প্রচার কর । যদি তা না কর , তবে তাে তুমি তার বার্তা প্রচার করলে না । ( মাইদহে ৬৩ ) সে ব্যক্তি ইলম গােপন করার অপরাধে জড়িয়ে যেতে পারে , অথচ তার শাস্তি ভয়ানক । মহান আ T ই বলেছেন , ولتكن منكم أمة يدعون إلى الخير ويأمرون بالمعروف وينهون عن الشكر وأولئك هم }( سورة آل عمر) অর্থাৎ , ( স্মরণ কর ) যাদেরকে কিতাব দেওয়া হয়েছিল , আল্লাহ তাদেরনিকট প্রতিশ্রুতি নিয়েছিলেন যে , তােমরা তা ( কিতাব ) স্পষ্টভাবে মানুষের কাছে প্রকাশ করবে এবং তা গােপন করবে না । এর পরও তারা তা পৃষ্ঠের পিছনে নিক্ষেপ করে ( অগ্রাহ্য করে ) ও তা স্বল্পমূল্যে বিক্রয় করে । সুতরাং তারা যা ক্রয় করে , তা কত নিকৃষ্ট । ( আলে ইমরানঃ ১৮৭ ) অর্থাৎ , আমি যে সব স্পষ্ট নিদর্শন ও পথ - নির্দেশ অবতীর্ণ করেছি । মানুষের জন্য স্পষ্টভাবে আমি কিতাবে ব্যক্ত করার পরও যারা ঐ সকল গােপন করে , আল্লাহ তাদেরকে অভিশাপ দেন এবং অভিশাপকারীরাও তাদেরকে অভিশাপ দেয় । ( বাক্বারাহঃ ২৫৯ ) রাসূলুল্লাহ ৪৯ বলেছেন , “ যাকে ধর্মীয় জ্ঞান বিষয়ক কোন কথা জিজ্ঞাসা করা হয় , আর সে ( যদি উত্তর না দিয়ে ) তা গােপন করে , কিয়ামতের দিন তাকে ( জাহান্নামের ) আগুনের লাগাম পরানাে হবে । ” ( আবু দাউদ , তিরমিযী ) সৎকাজের

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

সালাত

c

#include int main() { int i,n,l,u,p,sum; printf("enter lower & upper limit"); scanf("%d%d",&l,&u)...